প্রতিটি রাজ্য এখন আলাদা আলাদা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর রেওয়াজ আছে। এর ফলে দেখা যাচ্ছে,অনেকেরেই একাধিক ড্রাইভিং লাইসেন্স বর্তমান ।তাছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সাথে আধার নম্বর যুক্ত না থাকার জন্য , এখন অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তাই এবার গোটা দেশে একই ধরনের স্মার্ট ড্রাইভিল লাইসেন্স চালু করতে চলেছে মোদী সরকার।
জানানো হয়েছে, গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন এবং সার্টিফিকেট সবই হবে একটি স্মার্ট কার্ডের মত।এটিএম কার্ড এর মতো এই স্মার্ট কার্ড এ থাকেব QR (Quick Response) কোড। এই কার্ডেই থাকবে চালক এবং গাড়ির যাবতীয় তথ্য সম্বলিত একটি মাইক্রোচিপ । যার ফলে যেকোনও শহরেই ট্রাফিক পুলিশ যেকোনও গাড়ির তথ্য জানতে পারবে। অন্য রাজ্যের গাড়ি হলে সমস্যায় পড়তে হবে না তাঁদের।
২০১৯-এর জুলাই মাস থেকেই চালু করা হবে এই নতুন লাইসেন্স। সেই কারণে এখন থেকেই দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
সমস্ত কার্ড গুলি দেখতে হবে একই রকম একই ফরম্যাট, একই রঙ, একই ডিজাইন ও একই সিকিউরিটি ফিচার থাকবে এতে । ট্রাফিক পুলিশ এর কাছে থাকবে বিশেষ এক মোবাইল এপ্লিকেশন , যার মাধ্যমে এই স্মার্ট কার্ড গুলি চেক করে জানা যাবে চালক এবং গাড়ির সমস্ত তথ্য। এমনকী কোনও চালকের মৃত্যু হলে তাঁর কোনও অঙ্গদান করা আছে কিনা সেটার উল্লেখও থাকবে এই স্মার্ট কার্ডে। থাকবে ব্লাডগ্রুপ।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যেকদিন ভারতে ৩২০০০ নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি হয় ও ৪৩০০০ নতুন গাড়ি রেজিস্টার হয়। এই নয়া লাইসেন্স পাওয়া যাবে ২০১৯-এর জুলাই থেকে । যাঁদের পুরনো লাইসেন্স রয়েছে, তাঁরা রিনিউ করানোর সময় এই স্মার্ট কার্ড পেয়ে যাবেন। এই নয়া সিদ্ধান্ত লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন ও গাড়ি এবং গাড়ি চালক সংক্রান্ত অনেক সমস্যা সমাধানে নয়া দিশা দেখাবে বলে আশাবাদী অভিজ্ঞ মহল।
Good এটার দরকার ছিল খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে আমার মনে হয় এইটা মানুষ এর মধ্যে একটা দুশ্চিন্তা দূর করতে পারে আমি তো খুব খুশি